মুরগির বসন্ত


বসন্ত রোগের জীবাণু একপ্রকার ভাইরাস। অনেক সময় রোগের লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মুরগির বসন্ত রোগকে কন্টাজিয়াস ইপিথেলিওমা ও এভিয়ান ডিপথেরিয়া বলা হয়।

সাধারণত মোরগ-মুরগি, কবুতর এই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ ছাড়াও চড়ুই, ময়ূর, টিয়া ও অন্যান্য পোষা পাখি মাঝে মাঝে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। যে কোনো বয়সের মোরগ-মুরগিই বসন্ত রোগ যারা আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ

বসন্ত রোগে মোরগ-মুরগির একমাত্র পালক বিহীন স্থানে লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিশেষত এই রোগের মাথায় বিভিন্ন জায়গায় যেমন- কুটি, লতি, মুখের কোণায়, চোখের পাতায় এবং মাঝে মাঝে পায়ে ছোট ছোট আঁচিলের মতো গুটি দেখা যায়। গুটি হওয়ার আগে প্রথমে লাল হয় এবং রস জমা হয়। পরে কালকাল গুটি তৈরি হয়। মাথার বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের গুটিই মুরগির বসন্ত রোগ নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট। এই রোগে মোরগ-মুরগি খাওয়া থেকে বিরত হয়ে যায়। ডিম পাড়া কমে যায়। এই রোগে বয়স্ক মোরগ-মুরগির মৃত্যুর হার কম। বাচ্চা মোরগ-মুরগির মৃত্যুর হার সাধারণত কিছুটা বেশি। ৩-৪ সপ্তাহ অসুখে ভোগার পর আপনা থেকেই বড় মোরগ-মুরগি ভালো হয়ে উঠে।

বসন্ত রোগে আক্রান্ত মুযরগি

চিকিৎসা

*ভেটেরিনারিয়ানদের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

*পটাশের পানি দিয়ে গুঁটি বা ঘা পরিষ্কার করতে হবে।

*সালফোনিলামাইড পাউডার লাগানো যেতে পারে।

Scroll to Top