মুরগির কৃমির সংক্রমণ

মুরগির কৃমি সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা যা ডিম উৎপাদন কমানো, দুর্বলতা এবং মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এটি মূলত অন্ত্র, পাকস্থলী এবং রক্তের মাধ্যমে মুরগির শরীরে প্রভাব ফেলে।



লক্ষণ

ওজন কমে যাওয়া ও শারীরিক দুর্বলতা।
খাওয়ার অনীহা ও হজমের সমস্যা।
ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়া।
মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি বা মলযুক্ত কৃমি দেখা যাওয়া।
শ্বাসকষ্ট (Gapeworm সংক্রমণে)।
বাচ্চা মুরগির ক্ষেত্রে মারাত্মক অবস্থা ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি।


চিকিৎসা

কৃমির সংক্রমণ হলে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে:
এলবেনডাজল (Albendazole) – ২০-৩০ mg/kg বডি ওয়েট।
লেভামিসোল (Levamisole) – ৩০-৩৫ mg/kg বডি ওয়েট।
পাইপারাজিন (Piperazine) – মূলত গোলকৃমির জন্য কার্যকরী।
ফেনবেনডাজল (Fenbendazole) – ফিতা কৃমির জন্য ভালো।

নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করলে সংক্রমণের হার কমে যায়।


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে:

১. পরিচ্ছন্ন খামার ব্যবস্থাপনা

নিয়মিত খামারের ময়লা পরিষ্কার করা।
মুরগির মল ও খাদ্যদ্রব্য দূষিত হতে না দেওয়া।
শুকনো ও পরিষ্কার পরিবেশ নিশ্চিত করা।

২. খাদ্য ও পানির সুরক্ষা

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা।
খাবারের মধ্যে কৃমির ডিম বা লার্ভা যেন না থাকে তা নিশ্চিত করা।

৩. কৃমির ওষুধ নিয়মিত প্রয়োগ

প্রতি ৩ মাস পরপর মুরগিকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো।
নতুন মুরগির জন্য প্রথম মাসেই কৃমির ওষুধ প্রয়োগ করা।

৪. গৃহস্থালি প্রতিকার (Herbal Remedies)

রসুন, হলুদ ও নিমপাতার রস কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী হতে পারে।

Scroll to Top