ডাক ভাইরাস হেপাটাইটিস

এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। হাঁসের বাচ্চার ক্ষেত্রে একটি তীব্র ছোঁয়াছে রোগ। একে যকৃত প্রদাহ রোগ বলা হয়ে থাকে । চার সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে এ রোগ দেখা দেয় ৷

রোগের কারণ:

পিরোরনা নামক এক প্রকার ভাইরাস এ রোগের কারণ। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ ভাইরাস ৭ থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

রোগ ছড়ানোর মাধ্যম: 

আক্রান্ত খামারের বা ঝাঁকের সব বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে রোগের সুপ্তিকাল কয়েকঘন্টা মাত্র। যে সব মাধ্যমে বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে সেগুলো হচ্ছে :

খাদ্য ও পানির মাধ্যমে। 
এ রোগের ভাইরাস দ্বারা কলুষিত দ্রব্যের মাধ্যমে। 
আক্রান্ত হাঁসের সংস্পর্শে আসলে। 
আক্রান্ত হাঁসের মলের মাধ্যমে।


রোগের লক্ষণঃ

আক্রান্ত হাঁসের বাচ্চাগুলো খাওয়া বন্ধ করে দেয় । 
বাচ্চাগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে না। আস্তে আস্তে চলাফেরা করে। চোখ বন্ধ করে রাখে । 
স্বাভাবিকভাবে চলতে না পেরে একদিকে কাত হয়ে পড়ে যায়। 
লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ১ (এক) ঘন্টার মধ্যেই মারা যেতে পারে । 
রোগে মৃত হাঁসের বাচ্চাকে ময়নাতদন্ত করে যকৃতের নানা বর্ণের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। যকৃত বড় হয় এবং ফ্যাকাসে দেখা যায় । 
এ রোগে মৃত্যুর হার ৫-৯৫% হতে পারে ।

চিকিৎসাঃ 

রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ডাক হেপাটাইটিস এন্টিসিরাম ০.৫ সি.সি. পরিমাণ প্রতি হাঁসের ছানার মাংসপেশিতে ইনজেকশন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

প্রতিকার

ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী হাঁসের বাচ্চাকে টিকা দিতে হবে। 
বরং হাঁসের সাথে বাচ্চা হাঁস রাখা উচিত নয়।
ইঁদুর ও বন্য হাঁস এ রোগের ভাইরাস ছড়াতে পারে, তাই এগুলো যাতে খামারে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ বায়োসিকিউরিটি সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।

Scroll to Top